ডুয়েট শিক্ষকের করোনা প্রতিরোধক আবিষ্কার! - Engineering Bidyapith

logo+for+seb

An online based engineering School in Bangladesh

engineering+bidyapith

Home Top Ad

skrill+banner-728x90_en

Post Top Ad

bKash-Eid-Ul-Azha-banner-728x90

Monday, March 30, 2020

demo-image

ডুয়েট শিক্ষকের করোনা প্রতিরোধক আবিষ্কার!

engineering+bidyapith
image-157260

গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) তিন অধ্যাপক করোনাভাইরাস প্রতিরোধে একটি কৌশল আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করেছে। উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সাহিদ ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কাশেম দ্রুততম সময়ে উদ্ভিদ থেকে এই কৌশলটি আবিষ্কার করেন বলে তাদের দাবি।
গবেষক দলের প্রধান যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে জানান, এই ভাইরাসের বিভিন্ন প্রোটিন পর্যবেক্ষণ করে তাদের প্রকৃতি ও নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে গবেষণা করেন তারা। গবেষণায় দেখতে পান এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা শ্বাসনালীসহ মানবদেহের ক্ষতি করতে সক্ষম। এমনকি মানুষের মৃত্যুর কারণও হতে পারে। এসব রাসায়নিক উপাদান নিবিড়ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুসন্ধান করে তারা দেখতে পান ভাইরাসের মধ্যে কার্বোক্সিল ও এমাইনো গ্রুপ রয়েছে।
গবেষণা করে তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, এই কার্বোক্সিল ও এমাইনো গ্রুপের উপাদানগুলোকে অকার্যকর ও নিষ্ক্রিয় করতে হাইড্রোক্সিল গ্রুপের প্রভাব রয়েছে। এই অবস্থায় তারা দেশীয় ও সহজলভ্য হাইড্রোক্সিল গ্রুপের বিভিন্ন উৎস নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে থাকেন। পরে বিভিন্ন উদ্ভিদের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে হাইড্রোক্সিল রয়েছে বলে তাদের গবেষণা বেরিয়ে আসে। সেইসব উদ্ভিদকে প্রথমে এক্সট্র্যাক্ট করা হয়। তারা মনে করেন এটির সঙ্গে আরও কিছু প্রাকৃতিক উপাদানযুক্ত করে বিশ্বমানের করোনা নিরোধক ওষুধ তৈরি করা যেতে পারে।

অধ্যাপক আসাদ আরও বলেন, তারা গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। অচিরেই এটি করোনানিরোধক ওষুধে রূপান্তর করতে পারবেন বলে তার দাবি। গবেষক দলের অন্য দুই সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাহিদ ও অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা উদ্ভিজ উৎসের মধ্যে লিকোরিজ বা যষ্টি মধুকে ব্যবহার করেছেন। এটা করোনাভাইরাসের খারাপ প্রোটিনগুলোর ওপর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে। ওষুধ তৈরির আগে তারা পুষ্টিবিদদের মাধ্যমে হাইড্রোক্সিল গ্রুপের একটি তালিকা সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে চান। এই তালিকা সরকার প্রকাশ করলে মানুষজন তা খাদ্য হিসেবে বেছে নেবে এবং ভাইরাস প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অধ্যাপক আসাদ জানান, মঙ্গলবার রাতে তারা এই গবেষণাটি আন্তর্জাতিক জার্নালে জমা দিয়েছেন। এর বাইরে ইলেক্ট্রো-ইস্পান পদ্ধতি ব্যবহার করে গবেষক দলটি এন্টি-ভাইরাল ন্যানো-মেমব্রেনে তৈরি করেছেন। যা এন্টি-ভাইরাল পোশাক, গ্লাভস ও মাক্সসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Contact Form

Name

Email *

Message *